পশ্চিম লাইল্যাঘোনায় অবৈধ ভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড় জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১ // সংবাদ দাতা-মোঃ মহিউদ্দিন // ভূমি বিরোধের জেরে উপজেলার পশ্চিম লাইল্যাঘোনা এলাকায় অবৈধ ভাবে পাহাড় কেটে জোর পূর্বক বসত ঘর সহ জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আব্দুল মাবুদ নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী। অপরিকল্পিত ভাবে পাহাড় কাটার ফলে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে আট সদস্যদের অসহায় হতদরিদ্র একটি পরিবার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পৌরসভার ৬ নং ওয়াডের পশ্চিম লাইল্যাঘোনা এলাকায় পাহাড়ি উচু ভূমিতে দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বসবাস রয়েছে হতদরিদ্র ভুক্তভোগী বাচুনি বেগম সহ পরিবারের আট সদস্যের, বাচুনী বেগম তার বাবার ওয়ারিশ সূত্রে জায়গার মালিক । ছোট একটি ভাঙ্গা ঘর, এই ঘরের তিনটি কক্ষে কোনরকম বসবাস করছেন তারা। তাদের বসত বাড়ির দুই পাশে পরিকল্পিত ও অবৈধ ভাবে পাহাড় কেঁটে সমতল করে ফেলা হয়েছে, এতে করে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে পরিবারটি। ভারী বৃষ্টিপাত হলে যে কোন সময় পাহাড় ধসে পরে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। এছাড়াও বাড়ির চারপাশের বড় বড় ৪ থেকে ৫ টি ফলজ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। মাটি কেটে ফেলার স্থান জানা যায় ভুক্তভোগী বাচুনি বেগম ৩৮১ নং বটতলী মৌজার ৫৫ নং খতিয়ানে, ১৯০৩ নং দাগে, ০.৫৬ শতক রেকর্ড ভুক্ত জমিতে ১৯৫৯/৬০ ইংরেজি থেকে এই জমিতে বসবাস করে আসলেও বর্তমানে তার পার্শ্ববর্তী প্রভাব শালী আব্দুল মাবুদ উক্ত জমি নিজের বলে দাবি করে তাদেরকে এই জমি ছেড়ে দিতে নিয়মিত চাপ ও বল প্রয়োগ করছে। কিন্তু বাচুনি বেগম উক্ত জায়গা ছাড়তে রাজি নয়, এরই জেরে আব্দুল মাবুদ বসতবাড়ীর দুই পাশের মাটি কেটে বিক্রি করে দেয়। ভুক্তভোগী বাচুনি বেগম বলেন,আমার বাবা এখানে ছিল আমার বড় ভাই বোন ও আমি এখানেই জন্মগ্রহন করেছি, বর্তমানে আমি পাহাড়ে লাকরি কেটে কাজ কর্ম করে কোন রকম দুঃখে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি, এখন আব্দুল মাবুদ এই জমি তার দাবি করে মাটি কেটে নিয়ে গেছে, আমার বসত বাড়িটি এখন চরম ঝুঁকিতে রয়েছে, যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে এই বাড়িতে থাকতে খুব ভয় হয়। ভুক্তভোগী পরিবার বাড়ির কর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ৫৯ সাল থেকে এই জমিতে আমাদের বসবাস, এখন আব্দুল মাবুদ নিজের জমি দাবি করে আমাকে এখান থেকে সরানোর জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে চলছে। তাতে কোন কাজ না হওয়ায় জোর পূর্বক মাটি কেটে আমার ঘর ধসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বাঘাইছড়ি পৌরসভা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। স্থানীয় মুরুব্বি মোঃ নুর হোসেন(৫৫) বলেন, আমরা এতো বছর ধরে দেখে আসছি এরা এখানেই বসবাস করে আসছে, এখন হঠাৎ শুনি আব্দুল মাবুদ এই জমির দাবী করছে। বিষয়টি নিয়ে আব্দুল মাবুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জমির কাগজে মালিক দাবী করেন। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন আমরা এই ধরনের একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিবো। SHARES অপরাধ বিষয়: পাহাড় কাটাপাহাড় ধসবাঘাইছড়ি পৌরসভালাইল্যাঘোনা