বাঘাইছড়িবাসীর হৃদয়ে থাকবেন রুমানা আক্তার

প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২৩

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার পদোন্নতি জনিত বদলীর কারনে বিদায় সংবর্ধনা দিলো বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ।

সোমবার (৬ নভেম্বর) বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমার সভাপতিত্বে বিদায়ী সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার।

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জমির হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম ও সাগরিকা চাকমা, থানার অফিসার ইনচার্জ ইশতিয়াক আহমেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি মাহফুজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আলী হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন, প্রেসক্লাবের সভাপতি দিলীপ কুমার দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান ও আব্দুস সবুর, বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলিভ চাকমা।

কাচালং সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অভিমান্যু চন্দ্র, হেডম্যান কার্বারীদের পক্ষ থেকে জৌপুইথাং ত্রিপুরা, মাধ্যমিক শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ভদ্রসেন চাকমা, প্রাথমিক শিক্ষকদের পক্ষে নান্তা তালুকদার, ইমাম মুয়াজ্জিনদের পক্ষে মাওলানা ফয়জুল আমিন কুতুবী, সুশীল সমাজের পক্ষে হাজী শাহ আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, রাজনৈতিক – অরাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসনের ইতিহাসে প্রথন নারী ইউ এন ও হিসেবে ব্যপক সফলতা দেখিয়েছেন রুমানা আক্তার, একজন নারী কতটা দক্ষতার সাথে প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং সমন্বয় করে কাজ করতে পারে তা দেখি গেলেন তিনি। বক্তারা আরো বলেন দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী বাঘাইছড়িতে ফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মানুষের আবদার বেশী এবং খুব কম সংখ্যক মানুষের আবদার ফিরিয়েছেন তিনি, সকলে রুমানা আক্তারের ভবিষ্যত কর্মস্থল এবং সাংসারিক জীবনের জন্য শুভ কামনা জানান এবং সকলেই বলেন বাঘাইছড়িবাসীর হৃদয়ে থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার।

বিদায়ী ইউ এন ও রুমানা আক্তার বলেন, আমি ২০২২ সালের ২০ জুন বাঘাইছড়িতে এসেছি, ভেবেছিলাম ৩ বেশী সময় থাকতে পারবোনা, দেখতে দেখতে ১৬ মাস হয়ে গেলো অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছি এখানে। অনেক কাজ করার প্লান ছিলো কিন্তু সময় তা করতে দিলো না বিদায় নিতে হচ্ছে। তিনি বলেন আমি চেষ্টা করেছি সমন্বয় করে কিছু কাজ করতে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে পরবর্তী ইউ এন ওর সাথে সমন্বয় করে কাজ গুলা বাস্তবায়নের জন্য সবার কাছে আবদার করেন। বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসীর আন্তরিকতা আজীবন মনে থাকবে বলে বক্তব্যে অঝোর কাদলেন ভুল ভ্রান্তির কথা বলে সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন এবং ভবিষ্যতের জন্য দোয়া আশির্বাদ কামনা করেন।

উল্লেখ্য যে তিনি বাঘাইছড়ির শিক্ষা, সম্প্রীতি, সৌন্দর্য বর্ধন, বন্যা, পাহাড় ধ্বস সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। বিশেষ করে আশ্রয়নের ঘর নির্মাণে শতভাগ স্বচ্ছতা, বাঘাইছড়ি ও সাজেক ব্র‍্যান্ডিং করার জন্য স্থাপনা নির্মাণ করেন, দোসর, লক্ষীছড়ি, ভূয়াছড়ির মত দুর্গম অঞ্চলকে জয় করেছেন, পিছিয়ে থাকা জারুলছড়ি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মধ্যম পাবলাখালী নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো রং করা এবং ফ্যান লাইটের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিহতদের স্মরণে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করে দারুণ সুনাম অর্জন করেছেন।