//মোঃ মহিউদ্দিন, বাঘাইছড়ি//
মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ২৭ বিজিবি মারিশ্যা জোনের মাননীয় জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ আনোয়ার হোসেন ভুইঁয়া, পিএসসি, আর্টিলারী।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে গত ১৮ মার্চ ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে নির্বাচন সরঞ্জামসহ সাজেক থেকে ফেরার পথে ৯ কিলোমিটার নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে ৮ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা নিহত ও ৩৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছিলো। আহতদের অনেকেই কষ্ট আর যন্ত্রণা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তাদেরই একজন বেটলিং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফুলকুমারি চাকমা ব্রাশ ফায়ারের গুলিতে সেদিন ফুলকুমারির মেরুদণ্ড দুইভাগ হয়ে গিয়েছিলো সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকেই কিছুটা সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারলেও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি ফুলকুমারি চাকমা।
সামান্য কিছু অর্থ সহায়তা দিয়ে দায় সাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন,অনেক আশার বাণী শুনিয়ে কথা রাখেনি কেউ। তাই টাকার অভাবে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ফুলকুমারি চাকমা, হুইল চেয়ার এবং বিছানাই এখন এক মাত্র সম্বল, সিএমএইচ থেকে দেয়া তার হুইল চেয়ারটি পুরাতন হয়ে নষ্ট হওয়ার পথে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একটি আধুনিক মানের হুইল চেয়ার এবং বিভিন্ন রকম ফলমুল নিয়ে তার শারিরীক অবস্থার খোঁজ নেওয়ার জন্য ফুলকুমারির বাড়িতে হাজির হন ২৭ বিজিবি মারিশ্যা জোনের কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আনোয়ার হোসেন ভূইয়া পিএসসি আর্টিলারী।
মারিশ্যা জোন কমান্ডারকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন ফুলকুমারি চাকমা ও তার স্বামী হেমন্ত চাকমা, ফুলকুমারি চাকমা বলেন, আমি এখনো একটি প্রশ্নের উত্তর খুজি সেদিন কি অপরাধ ছিলো নিহত ও আহত ব্যাক্তিদের কি অপরাধ ছিলো যে এভাবে গুলি করে ৮ জন নিরীহ নিরঅপরাদ মানুষকে হত্যা করা হলো ৩৩ জন সাধারণ মানুষকে গুলিতে আহত হতে হয়েছিলো।
ফুলকুমারি চাকমার সাথে সাক্ষাৎ শেষে জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণল মোঃ আনোয়ার হোসেন ভুইঁয়া, ফুলকুমারি চাকমাকে পুনরায় ঢাকা সিএমএইচে নিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। কারণ দীর্ঘদিন চিকিৎসকের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষনের বাহিরে থাকায় তার কষ্ট ও যন্ত্রণা অনেকটা বেড়েছে।
সম্পাদক – মাহমুদুল হাসান সোহাগ | ঠিকানা – বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি | মোবাইল- ০১৬৯০-১৪৪৫৪