মারিশ্যা বড় হুজুর কেবলার নির্দেশিত ঐতিহাসিক জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) পালিত প্রকাশিত: ১২:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বটতলী দরবার শরীফের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে জশনে জুলুছে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেবর) সকাল ৯ টায় বটতলী দরবার শরীফ থেকে কালিমা খচিত বিভিন্ন রংবেরঙের পতাকা নিয়ে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ পবিত্র জশনে জুলুছ ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) বর্ণাঢ্য র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন, র্যালীটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমুহনী চত্বরে মুক্তমঞ্চে সমাবেশে মিলিত হয়। পবিত্র জশনে জুলুছ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বটতলী দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুন নুর (মা.জি.আ)। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গাউসিয়া কমিটির সভাপতি হাজী আবদুল শুক্কুর, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, হাজী আবুল মাসুম, কাচালং দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মাওলানা মোজাম্মেল হক নুরী, মাওলানা বশির উদ্দিন আনছারী, হাজী আবদুল মাবুদ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ হোসাইন, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মাওলানা হাসান রেজা, হাফেজ মোঃ হেলাল, শায়ের আনোয়ার রেজাসহ আরো অনেকেই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিঙ্গিনালা তৈয়বিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল বারী, উগলছড়ি জামে মসজিদের খতিব হাফিজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম আলকাদেরী, গাউসিয়া কমিটি বাঘাইছড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন সারা বিশ্ব যখন অন্ধকার যুগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলো তখন হেদায়েতের বাণী নিয়ে পৃথিবীর বুকে ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের ১২ রবিউলে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) সেই থেকে এখন পর্যন্ত নবীর আগমনে সারা দুনিয়া খুশি উদযাপন করে আসছে তারই ধারাবাহিকতায় বাঘাইছড়িতে পার্বত্য অঞ্চলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আধ্যাত্মিক সুফি সাধক, সফল ইসলাম প্রচারক, রহনুমায়ে শরীয়ত ও ত্বরিকত হযরতুহাজ আল্লামা সৈয়দ নুর মোহাম্মদ শাহ (রহ.) প্রকাশ মারিশ্যা বড় হুজরের দিক নির্দেশনায় জুলুছ প্রচলিত হয়ে আসছে এবং এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। বক্তারা আরো বলেন শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বের ১৪০ টিরও বেশী দেশে পালিত হয় ঈদে মিলাদুন্নবী। সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ আব্দুন নুর বলেন বর্তমানে মুসলিম জাতী বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছেন যার কারনে বিভিন্ন দেশে মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছেন তিনি আহবান জানান সারা বিশ্বের মুসলিমদের প্রতি মদিনার সনদের মত করে রাষ্ট্র এবং রাসুলের আদর্শে জীবন পরিচালনা করার জন্য, তিনি বর্তমান অন্তবর্তিকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান যারা দেশের বিভিন্ন মাজার ও মন্দিরে হামলা করেছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য একই সাথে যারা জশনে জুলুছে অংশগ্রহণ করেছেন এবং সহযোগীতা করেছেন সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আলোচনা সভা শেষে বটতলী দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পার্বত্য অঞ্চলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আধ্যাত্মিক সুফি সাধক, সফল ইসলাম প্রচারক, রহনুমায়ে শরীয়ত ও ত্বরিকত হযরতুহাজ আল্লামা সৈয়দ নুর মোহাম্মদ শাহ (রহ.) প্রকাশ মারিশ্যা বড় হুজুর কেবলার মাজার শরীফে মিলাদ মাহফিল এবং দেশ ও জাতীর কল্যাণে আখেরী দোয়ার মাধ্যমে জুলুসের সমাপ্তি হয়। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: