৬২তম শিক্ষা দিবস উপলক্ষে পিসিপির আলোচনা সভা প্রকাশিত: ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়িতে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়ন কর এবং সকল প্রকার সরকারি চাকরিতে ও দেশের সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫% কোটা ও সকল আদিবাসী মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা চালু করার’ শ্লোগানে ৬২ তম শিক্ষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং রোজ মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকায় সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ বাঘাইছড়ি থানা শাখার উদ্যোগে বাঘাইছড়ির শিজক কলেজের হলরুমে এ আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ বাঘাইছড়ি থানা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক উদ্দীপন চাকমার সঞ্চালনায় এবং পিসিপি বাঘাইছড়ি থানা শাখার সহ-সভাপতি সোহেল চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বাঘাইছড়ি থানা কমিটির সভাপতি শ্রী প্রভাত কুমার চাকমা। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক চিবরন চাকমা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রী প্রভাত কুমার চাকমা ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা খুবই শোচনীয় অবস্থায়। বিশেষ করে এই অবস্থার জন্য বিগত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকার এর দায় কখনো এড়াতে পারেনা। তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বর্তমানে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বে রয়েছে। আমরা আশাবাদী, বর্তমান সরকার ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যে স্থবিরতা সেটা খুব শীঘ্রই দূর করে চুক্তি পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক চিবরন চাকমা বলেন, পৃথিবীর সভ্য রাষ্ট্রগুলোতে তাকালে দেখি, সাধারণত সেখানে যেসকল ছোট ছোট জাতি রয়েছে তাঁদেরকে মূলধারার জনগোষ্ঠীর সাথে একযোগে এগিয়ে নিতে সেখানকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকেন তারা কোটা ব্যবস্থার পাশাপাশি অন্যান্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের দেশের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করলে তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্রটাই আমরা দেখতে পাই। বিগত সরকারগুলোর আমলে আমাদের আদিবাসীদের জন্য ৫% আদিবাসী কোটা সংরক্ষণের কথা থাকলেও সেটা কেবলমাত্র কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে আমরা দেখেছি। তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সকল প্রকার সরকারি চাকরিতে ও দেশের সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫% কোটা ও সকল আদিবাসী মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা চালু করার জোর দাবি জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা। ||বিজ্ঞপ্তি || SHARES সংগঠন বিষয়: