খেলাধুলা থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন নিলেন মোক্তার হোসেন সোহেল প্রকাশিত: ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৩ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মুসলিমব্লক জাগরণী ক্লাবের ফুটবল ও ক্রিকেট খেলোয়াড় মোক্তার হোসেন সোহেল মেজর টুর্ণামেন্টের সকল খেলাধুলা থেকে অবসর গ্রহণ করলেন। মুসলিম ব্লক জাগরণী ক্লাবের হয়ে প্রথম ফুটবল খেলা শুরু করেন ১৯৯৭ সাল হতে সর্বশেষ বাঘাইছড়ি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে উপজেলা পরিষদ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর ফাইনাল ম্যাচে জয়ী হয়েই অবসরের ঘোষণা দিলেন ৪০ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়। বাঘাইছড়ি উপজেলা টীমের হয়ে খেলেছেন ভালো খেলোয়াড় হিসেবে এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন নিয়মিত, ২০০৩ সাল হতে মুসলিম ব্লক জাগরণী ক্লাবের ফুটবল ও ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। ফুটবল খেলায় নিজের যাত্রা শুরু করেন গোলকিপার হিসেবে কয়েকবছর পরই খেলেন মাঝ মাঠে। ক্রিকেটে খেলেছেন ফাস্ট বোলার এবং দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে।বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ মাঠের ১ম সেঞ্চুরীর অধিকারী ছিলেন তিনি। বাঘাইছড়ি উপজেলার মেজর টুর্ণামেন্ট বিশেষ করে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার টুর্ণামেন্ট, জোন কাপ, মেয়র গোল্ডকাপ সব টুর্ণামেন্টেই ছিলো মোক্তার হোসেন সোহেলের প্রসংশনীয় পারফরম্যান্স। বাঘাইছড়ি উপজেলার বাহিরে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ, রাঙ্গামাটি জেলা টুর্ণামেন্টে ঐতিহ্যবাহী শুক্কুর ক্লাব ও ছদক ক্লাবের হয়ে খেলেছেন সুনামের সাথে এবং চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের হয়েও খেলেছেন অনেক ম্যাচ। দেশের বাহিরে মালয়শিয়ার স্থানীয় টুর্ণামেন্টে খেলার সুযোগ হয়েছিলো তার। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় সুনামের সাথে খেলেছেন হায়ার খেলোয়াড় হিসেবে। ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিভল সহ আরো অনেক খেলায় পারদর্শী ছিলেন তিনি। খেলাধুলার পাশাপাশি দক্ষতার সাথে অনেক খেলা পরিচালনা করেছেন আম্পায়ার, রেফরি হিসেবে এবং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ক্রীড়া সংস্থা সহ বিভিন্ন ক্লাবের। তার হাত ধরে বাঘাইছড়ি উপজেলার অনেক ক্রিকেটার ও ফুটবলার তৈরী হয়েছে। তিনি উপজেলার একমাত্র ফুটবল একাডেমি “বাঘাইছড়ি ফুটবল একাডেমি” পরিচালনা বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে চাকরী করছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং দুই কন্যা সন্তানের জনক তিনি। অবসরের বিষয়ে সোহেল বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২৬ বছর খেলাধুলার সাথে জড়িত রয়েছি বিশেষ করে মুসলিম ব্লক জাগরণী ক্লাবের হয়ে নিয়েমিত খেলেছি অনেক টুর্নামেন্ট পরিচালনা করেছি, ক্রিকেটে মুসলিম ব্লক প্রিমিয়ার লীগ পরিচালনার মাধ্যমে ভালো খেলোয়াড় তৈরীর চেষ্টা করেছি, তিনি বলেন আমার একটা ইচ্ছা ছিলো আমার এলাকার ছেলে গুলো মাদক ও বাজে নেশা থেকে দূরে থাকবে আর তার জন্য প্রয়োজন খেলাধুলার নিয়মিত চর্চা আমি তাদের সময় দেয়ার চেষ্টা করেছি ভুল করলে বকা দিয়েছি, এখন বয়স হয়েছে মাঠ ছাড়ার তবে মাঠের মানুষ মাঠেই থাকতে চাই তরুণদের ভালো খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই । মোক্তার হোসেন সোহেল অবসরের ঘোষণা দেন নিজের ফেইসবুকে পোস্ট করে সেখানে অনেক সতীর্থ খেলোয়াড় স্মৃতিচারণ করে কমেন্ট করেন তাদের মধ্যে মুশফিকুর রহমানের লিখাটি তুলে ধরা হলো – তোর সাথে সেই ছোট বেলা থেকেই আমার একসাথে খেলা, প্রথমে গোলকিপার হিসাবে শুরু করেছিলি, অন্য গ্রাম বা পাড়ার সাথে আমরা প্রায়ই ম্যাচ ধরতাম তোর কিপিং এর সেইভ দেখে সবাই তোর নাম দিলো লোহা! মনে আছে তোর? এরপর হঠাৎ কিপিং ছেড়ে মিড ফিল্ডে খেলা শুরু করলি। মিড ফিল্ডে ও অসাধারণ খেলা শুরু হলো তোর। বাঘাইছড়ি থেকে রাংগামাটি জেলার শুক্কুর ক্লাবে ডাক পেলাম তুই আমি লিটন। খেলার জগতে কি ফুটবল কি ক্রিকেট কি ভলিবল কি ব্যাটমিন্টন সব খেলেয় তুই ছিলি অসাধারণ নৈপুণ্যের খেলোয়াড়। বয়স হয়েছে কর্ম ব্যাস্ততা বেড়েছে অবসর নিতে হবে তবে এখনো ছোটদের যেভাবে সময় দিয়ে মাঠের ঝামেলা গুলো মিমাংসা করোচ তা এবার নিজে বাড়ি গিয়ে দেখলাম। তোর জন্য দোয়া ভালোবাসা সব সময় থাকবে বাল্যবন্ধু। মুসলিম ব্লক জাগরণী ক্লাব সোহেল অনেক বছর ধরে ৭ নাম্বার জার্সি পড়ে খেলে আসছেন মুসলিমব্লক জাগরণী ক্লাবের হয়ে বর্তমান সতীর্থ খেলোয়াড়রা এই ৭ নাম্বার জার্সিটি অন্য কারো গায়ে জড়াতে রাজি নন তারা তুলে রাখতে চান তাদের প্রিয় খেলোয়াড়ের জার্সিটি স্মৃতি হিসেবে। SHARES খেলাধুলা বিষয়: